আহমদ বিলাল খান, রাঙ্গামাটি::
রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের ৬১টি জেলাতে যেসব আইনে পরিচালিত হচ্ছে সেভাবে করে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামকে একই আইনের অধীনে পরিচালিত করতে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দরা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথাগত বিচারের নামে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলে পিসিসিপির নেতৃবৃন্দরা বিক্ষোভ সমাবেশ বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে প্রথাগত সামাজিক বিচারে অভিযুক্তদের ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও ভুক্তভোগীকেও সমাজের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়- যা অন্যায্য ও অমানবিক বলে উল্লেখ করেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ এবং সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন।
এতে বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, ৩৫ কাঠুরিয়া স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেন, পিসিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবিরসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা অভিযোগ করেন, কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের চংড়াছড়ি মুখ এলাকায় এক প্রতিবন্ধী মারমা নারীকে স্বজাতি তিন ব্যক্তি যৌন নির্যাতন করেছে বলে জানা গেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনা পাহাড়ে সামাজিক বিচারের নামে নারীর প্রতি সহিংসতার এক জঘন্য উদাহরণ। অপরাধীদের অর্থদণ্ড দিয়ে দায়মুক্তি দেওয়া বিচার নয়, বরং অবিচার। তারা আরও বলেন, পাহাড়ে নারীর প্রতি সহিংসতা ও দ্বিমুখী নীরবতা মানবাধিকারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।
বক্তারা সকল মানবাধিকার সংগঠন ও নাগরিক সমাজকে এই ঘটনায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
দেখছি যা বলছি তা
https://dainikalokitopahar.com/