
প্রতিনিধি, বাঘাইছড়ি।।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে আবারো উতপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দুলোবনিয়া এলাকায় পাহাড়ের বিবাদমান আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস(সন্তু) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, ইউপিডিএফ(প্রসিত) পন্থীদের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ চলছে।
১৩ মে সোমবার বিকাল ৪ ঘটিকায় বঙ্গলতলী এলাকার সুকেতন মাঠে গোলাগুলি শুরু হয়ে সন্ধ্যায় বন্ধ হয়ে যায়। আজ মঙ্গলবার ভোর ৫:৪০ ঘটিকায় আবারো দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে শুরু হয় ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ। সকাল সাড়ে আট ঘটিকায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো থেমে থেমে গোলাগুলি চলমান রয়েছে। উভয় পক্ষ আনুমানিক ১০০০ রাউন্ড গুলি বিনিময় করেছে বলে নিশ্চিত করে স্থানীয়রা। গোলাগুলির ঘটনায় বিভিন্ন সূত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাহতের খবর ও ছবি ছড়িয়ে পরলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেও হতাহতের সুনির্দিষ্ট খবর দিতে পারেনি। স্থানীয়দের ঘরের আসবাপত্রে গুলি লেগেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদ গোলাগুলির বিষয়টি শিকার করে বলেন আমরা সংবাদ পেয়েছি তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোন খবর পাওয়া যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে ।
এদিকে আগামী ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর পুরোদমে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। এবার ভোটের মাঠে বড় দুই রাজনৈতিক দলের কোন পার্থী না থাকলেও পাহাড়ে বিবাদমান আঞ্চলিক দুই সংগঠনের হেভিওয়েট পার্থী রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা সহ সকল প্রস্তুতি নেয়া হলেও গোলাগুলির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১৮ই মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় ৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারী নিহত ও ৩৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন । ঘটনার ৫ বছর পার হলেও ওই ঘটনায় ধরা পরেনি মূল হোতাদের কেউই।