খাগড়াছড়িতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ ৭ জনসহ অজ্ঞাত ১২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও মানহানি মামলা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্লকে হত্যাচেষ্টা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানহানির অভিযোগে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতের বিচারক তারেক আজিজ রায়হানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল।

আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট খাগড়াছড়ি শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্ল মারাত্মক আহত হন এবং আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

পরদিন (৫ আগস্ট) সরকারের পতনের পর স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগ শাসনামলের নানা সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করতে থাকেন সাংবাদিক প্রফুল্ল। এর জের ধরে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তাঁর সহযোগীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর পোস্ট দিতে শুরু করেন। এতে শুধু সাংবাদিক প্রফুল্ল নন, জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্যকেও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করা হয়।

মামলায় নাম উল্লেখ করা সাতজন আসামি হলেন— সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, মাইন উদ্দিন ভুটো, নুরুল ইসলাম, এম এফ রাব্বি, মোহাম্মদ মেহেদীন হাসান, রহিম মিয়া নাঈম ওরফে, আরেফিন নাঈম এ ছাড়াও মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ চাই।”

এদিকে মামলার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।