

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি৷ খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫–এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো প্রাণবন্ত ফুটবল প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। শনিবার সকালে সদর উপজেলার ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ছয়টি হাই স্কুলের ১৫ জন করে মোট ৯০ জন খেলোয়াড়।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—
ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয়, পানখাইয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, ইটছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, এপিবিএন উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি শিশু পরিবার ও কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
এদিন প্রতিটি ম্যাচের সময়সীমা ছিল ২০ মিনিট। টানটান উত্তেজনায় ভরা খেলার মধ্য দিয়ে অপরাজিত থেকে ফাইনালে ওঠে কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয়। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্র হলে ট্রাইব্রেকারে ঠাকুরছড়িকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কমলছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়।
খেলোয়াড় ও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া একজন খেলোয়াড় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন— “আমাদের স্কুল থেকে এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। ট্রাইব্রেকারে জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভীষণ আনন্দ লাগছে।”
একজন দর্শক মন্তব্য করেন-“দিনব্যাপী এ ফুটবল প্রতিযোগিতা খুবই চমৎকার উদ্যোগ। তরুণ প্রজন্ম এখান থেকে স্বপ্ন দেখবে জাতীয় পর্যায়ে খেলার।”
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাহাবুব আলম। সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল বাতেন মৃধা,জেলা ফুটবল কোচ তুহিন কুমার দেসহ আরও অনেকে।
জেলা ক্রীড়া অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন-“এই টুর্নামেন্ট থেকে প্রতিটি দল থেকে সেরা ৫ জনসহ মোট ৩০ জন খেলোয়াড়কে মৌলিক প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ৬ জন শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় বাছাই করা হয়েছে, যারা পর্যায়ক্রমে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে খেলবে, এমনকি জাতীয় দলে সুযোগও পেতে পারে।”
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন,“তরুণদের উদ্দীপনা ও আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। এখান থেকেই জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি হবে এবং তারা একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে।”
জেলা পরিষদ সদস্য মো. মাহাবুব আলম বলেন—
“ক্রীড়া তরুণ সমাজকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করে, মাদক ও অপকর্ম থেকে দূরে রাখে। খেলাধুলার মাধ্যমেই গড়ে ওঠে আলোকিত আগামী প্রজন্ম।”
দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে মাঠে ছিল উপচেপড়া দর্শক। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
প্রাণবন্ত এ আয়োজন তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দিয়েছে, যা আগামী প্রজন্মকে খেলাধুলায় আরও বেশি উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।