নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১১ বিজিবির চোরাচালানবিরোধী অভিযানে বিপুল মালামাল জব্দ

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় দায়িত্ব পালনরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) সীমান্ত নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করছে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদকদ্রব্য, মানবপাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে এ ব্যাটালিয়নের পেশাগত দক্ষতা স্থানীয় জনসমাজে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ নভেম্বর শনিবার ভোর থেকে ২৪ ঘন্টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১১ বিজিবির অধীনস্থ ফুলতলী বিওপি, ভালুখাইয়া বিওপি এবং ব্যাটালিয়ন সদরের বিশেষ টহলদল পৃথক পৃথক স্থানে চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা সীমান্ত ঘেঁষা পাহাড়ি পথ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তারা বাংলাদেশী বিভিন্ন প্রকার মালামালের বস্তা ফেলে রেখে যায়।

পরে অভিযানকারীরা পরিত্যক্ত মালামালগুলো উদ্ধার করে জব্দ তালিকাভুক্ত করেন। বিজিবির তথ্যমতে, জব্দকৃত মালামালের সরকারি সিজার মূল্য ১৫,৭১,৫০০ টাকা (পনের লক্ষ একাত্তর হাজার পাঁচশত টাকা)।

অভিযান সম্পর্কে ১১ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস কে এম কপিল উদ্দিন কায়েস বলেন, “সীমান্ত এলাকায় অবৈধ চোরাচালান যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও সচেষ্ট। সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং বৈধ বাণিজ্যকে স্বাভাবিক রাখতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

স্থানীয়জনেরা ১১ বিজিবির এসব কার্যকর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিজিবির কঠোর নজরদারি ও নিয়মিত অভিযানের ফলে সীমান্তে অবৈধ কর্মকাণ্ড অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।