ঈদগাঁওতে অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়েছে দরিদ্র রং মিস্ত্রি

ঈদগাঁও প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দরিদ্র দিনমজুরের একটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আট অক্টোবর বুধবার বিকেল পাঁচটায় ঈদগাহ কলেজের দক্ষিণে পূর্ব মেহের ঘোনায় অগ্নিকান্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য নুরুল হাকিম জানান, বাড়ির পার্শ্ববর্তী বিদ্যুতের সার্ভিস তার থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মাটির গুদাম ও টিনের চালার তিন রুমের এ ঘরটি দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ব্যাপী দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যুবক ও গ্রামবাসী এসে অগ্নি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকার কোন সুযোগ ছিল না। তাদেরকে কেউ খবরও দেয়নি। তিনি আরো জানান, অগ্নিকান্ডে ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, আলমিরা, কাপড়-চোপড়, ফ্রিজ সহ সবকিছু পুড়ে যায়। এতে আনুমানিক চার/ পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। পুড়ে যাওয়া বসতবাড়ির মালিক হচ্ছেন স্থানীয় মৃত হামিদ হোসেনের পুত্র রং মিস্ত্রি নুরুল ইসলাম। ভুক্তভোগীর স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান, তিনি তার দুই পুত্র, এক মেয়ে ও স্বামী নিয়ে এ বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তার দুই মেয়ের ইতোপূর্বে বিবাহ হয়ে গেছে। বড় ছেলেটির বয়স ১৫ বছর। ছোট ছেলের বয়স আট বছর। আর মেয়েটি স্থানীয় আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তিনি আরো জানান, তার স্বামী মহেশখালীতে ফার্নিচার তৈরীর কাজ করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি বাড়িতে আসার জন্য স্পিডবোট যুগে মহেশখালী থেকে রওয়ানা দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে গ্রাম পুলিশ নুরুল হাকিম জানান, অগ্নিকান্ডের এ খবর স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাকিম এবং ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দিন বাহার কে জানানো হয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হবে বলে তিনি জানান।
ঈদগাঁও থানার নবাগত ওসি ফরিদা ইয়াসমিন জানান, অগ্নিকান্ডের বিষয়টি তাকে কেউ অবহিত করেননি।

স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাকিমকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দিন বাহার জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি দরিদ্র এ পরিবারটির পুনর্বাসনে সরকারি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।