

আরিয়ান খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে মাত্র ৮ শত টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর গুলিতে মো. জোবায়ের (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। সে টেকনাফ সদর ইউপি ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল খালেকর পুত্র।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নাজির পাড়া এলাকায় মাত্র ৮শত টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা জোবায়েরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা শেষ করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সদর হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার চট্টগ্রামে মেডিকেল রেফার করেন। অবশেষে চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে রাত ১১টার সময় কক্সবাজার রামু এলাকা সংলগ্ন সড়ক পথে গুলিবিদ্ধ যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, নাজির পাড়ার জাগির হোছনের পুত্র ঘাতক নজুমুদ্দিন নিহত জোবায়ের কাছ থেকে মাত্র ৮ শত টাকা পেতেন। উক্ত টাকার লেনদেন নিয়ে দু’জনের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘাতক নজুমুদ্দিন তার বড় ভাই ফিরোজের নেতৃত্বে নিহত জোবায়েরের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নজুমুদ্দিন জোবায়ের এর মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। এরপর জোবায়ের চিৎকারে স্থানীয় ও আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় জোবায়েরকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার খানে আলম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন নাজিরপাড়া এলাকার জাগির হোছনের ছেলে নজুম উদ্দীনের সঙ্গে একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জোবাইরের দোকানের বাকি টাকার পাওনা বাবদ কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় নাজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে কয়েকজন জোবায়েরের বাড়িতে এসে হামলা শেষে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন জোবায়েরকে বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জোবায়েরের মা বলেন, আমার ছেলের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছে, সে খবর আমাকে জানালেও আমি তা পরিশোধ করতাম। কিন্তু ৮০০ টাকার জন্য আমার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করল তারা। আমি এ হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, সংঘটিত ঘটনার পর থেকে পুলিশের একটি দল সদস্যরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পাশাপাশি উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের অভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।