ঈদের ছুটিতেও সেবার দরজা খোলা রেখেছে খাগড়াছড়ি সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদ উল আযহার টানা ১০ দিন সরকারি ছুটিতেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবার দরজা খোলা রেখেছেন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃমঙ্গল)। স্থানীয় গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিয়ে পাশে থেকেছেন তারা। তবে এক সময় নিজস্ব ভবনে সেবা দিলেও এখন সেবা দিচ্ছেন ডাক্তারদের কোয়াটারের বাসায়। খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল সম্প্রসারণের জন্য বহুতল ভবন নির্মানের কারলে ভাংতে হয় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নিজস্ব ভবন।

খাগড়াছড়ি সদর পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী, আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করতে খাগড়াছড়ি সদর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আওতাধীন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে মোট ১৪টি স্বাভাবিক প্রসব সম্পাদন করা হয়। বন্ধের দিনে গর্ভবতী মায়েরা ২৪ ঘন্টা সেবা পেয়ে অনেকটাই খুশি সেবা গ্রহীতারা।

খাগড়াছড়ি সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর আত্মী বলেন, এখানে কর্মরত ভিজিটরদের সেবার মান অনেক ভালো। ঈদের ছুটি এর মধ্যেও কেন্দ্রটি চালু রয়েছে।

খাগড়ছড়ি সদর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভিজিটর কালো চাকমা বলেন, এখানে রোগীদের চাপ রয়েছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসছে। তবে বন্ধের কারনে শুধু প্রসব সেবা নিতে মায়েরাই এসেছে। এ বন্ধে এখানে ১৪জন মায়ের নরমালভাবে সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। প্রসব পরবর্তীতে তাদের চিকিৎসা সেবারও দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সেবা দিতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগছে।

খাগড়াছড়ি সদর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিটু দেওয়ান বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগীয় কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক দীর্ঘ ছুটিকালীন সময়েও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসব সেবাসহ জরুরী সেবা দিতে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা হয়েছে। ঈদুল আযহার ছুটির মধ্যে রোগীরা সেবা পেয়ে অনেক খুশি এবং আমরা নিজেরাই খুশি। তবে অপ্রতুল জনবল ও নিজস্ব ভবন না থাকায় সেবা দেওয়াটাও একটু কষ্টের। আমরা বর্তমানে ডাক্তারদের কোয়াটারের রুমে সেবা নিতে আসা মায়েদের সেবা দিচ্ছি। নিজস্ব ভবন থাকলে সেবার মানটা আরও একটু ভালো হতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।