খাগড়াছড়িতে স্বেচ্ছাসেবক দলের শক্তিশালী মিছিল-সমাবেশ “আমাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙাবেন না—দেশ রক্ষায় রাজপথে থাকবো”

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও শক্তিশালী প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে জেলা সদরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়।

স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান (সাগর)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. এন. আবছার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব রাজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একরাম হোসেন রানা, যুবদলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ, ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম জাহিদ,সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পি দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে রাজপথে সুনামি হবে: সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ ও তাদের ছাত্র সংগঠনের লুঙ্গির নিচে লুকিয়ে থাকা গুপ্ত সংগঠন দেশকে গভীর ষড়যন্ত্রের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে একটি অপশক্তি। কিন্তু বিএনপি ধৈর্য্য ধরে পর্যবেক্ষণ করছে—তবে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙলে রাজপথে সুনামির মতো জবাব আসবে।”

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আপনারা এক ঘন্টাও টিকতে পারবেন না। দেশ ও বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।” স্বেচ্ছাসেবক দল মাঠে, প্রস্তুত নেতাকর্মীরা: বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন চোখ খুলে দিয়েছে। আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও দমন-পীড়নের মধ্যেও বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো সংগঠিতভাবে মাঠে আছে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।”

এই কর্মসূচিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শত শত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বিক্ষোভটিকে আরও দৃপ্ততা দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীরা সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ নানা দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল করে তোলে পুরো শহর।

রাজনৈতিক উত্তেজনায় উত্তপ্ত খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি শহরে এই ধরনের জনসমাগম ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পাহাড়ে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার বাস্তব প্রতিফলন। প্রশাসনের নির্লিপ্ততা, অশুভ চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক হয়রানির প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে, তা আগামীতেও বড় ধরনের আন্দোলনের থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।