

খোকন বিকাশ ত্রিপুরা জ্যাক,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস ও সহনশীল জীবিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান, জেলা পরিষদ, পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে “অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সহনশীল জীবিকার জন্য সহায়তা (পিআরএলসি) প্রকল্প”-এর জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের মিলনপুরস্থ গাইরিং হোটেলের কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতা এবং তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ও আলো’র বাস্তবায়নে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি ও গুইমারা উপজেলায় এই প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।
সভায় আলো’র নির্বাহী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রক্তোৎপল ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক স্যুইচিং অং মারমা। পিআরএলসি প্রকল্পের পরিচিতি উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক নিখিল চাকমা এবং চলমান কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়ক আনজুম বহ্নি চাকমা। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আলো’র প্রকল্প সমন্বয়ক মিক্সন চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের দরিদ্র জনগণের জীবনে পরিবর্তন আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীদের মাশরুম উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয়ে আর্থিক সহায়তার আশ্বাসও দেন।
সভাপতির বক্তব্যে আলো’র নির্বাহী পরিচালক অরুন কান্তি চাকমা বলেন, “আলো ও তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে খাগড়াছড়ি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পিআরএলসি প্রকল্পের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবিকায়ন ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও ”তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে চলমান এ প্রকল্পের মাধ্যমে লক্ষীছড়ি ও গুইমারা উপজেলার ১৫৬টি পাড়ার ৪ হাজার ৬১৮টি পরিবারকে জীবিকায়ন, পুষ্টি এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা হচ্ছে।