
বশির আহমেদ, বান্দরবান জেলার প্রতিনিধি
ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবক হত্যার সুবিচারের দাবিতে (বিকালে বান্দরবানের শহীদ আবু সাঈদ মুক্ত মঞ্চের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে পিসিসিপি বান্দরবান জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের বান্দরবান জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল রানা, পৌর কমিটির সভাপতি শামসুল হক শামু, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ বান্দরবান জেলা এর সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর হোসেন ইমন, ঢাকা মহানগর এর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিথ্যা ধর্ষণের ইস্যুতে গত ২৭সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি পৌরসভা এলাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও এর অঙ্গসংগঠন সমূহ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সাধারণ জনগণকে উস্কে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে গুইমারা-খাগড়াছড়ি সড়ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়। ঐদিন সকাল সাড়ে দশটায় ইউপিডিএফের ক্যাডার এবং সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলাকার বাঙালি জনগোষ্ঠীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াতে লিপ্ত হয়, তখন সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ইট-পাটকেল, গুলতি ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর ৩জন অফিসারসহ ১০ জন সদস্য আহত হয়। এসময়ে ইউপিডিএফ এর গুলিতেই রামসু বাজারে বিক্ষোভরত তিনজন সাধারণ পাহাড়ি যুবক আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা মারা যায়। ইউপিডিএফ একদিকে সাধারণ পাহাড়ি জনতাকে উস্কে দিয়ে বিক্ষোভ করায়, অন্যদিকে পাহাড়ের চূড়া থেকে গুলি করে আবার পাহাড়ি জনতাকে হত্যা করে।
এসময় বক্তারা ইউপিডিএফকে বয়কট করতে সকলের প্রতি আহবান জানান এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান বিক্ষোভ সমাবেশে পিসিসিপি বান্দরবান জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, আমরা সবাই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই, কিন্তু ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে পাহাড়কে সবসময় অশান্ত করে রাখছে। এসময় তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধুমাত্র বাঙ্গালীদের নয়, এই ইউপিডিএফ পাহাড়ী নিরীহ ব্যক্তিদের ওপর জুলুম অত্যাচার করছে, আর তাই প্রশাসনের কাছে জোর দাবি ইউপিডিএফ এর সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিত হবে