

আবদুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে দেশটির জান্তা সরকারের বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে চলা লড়াইয়ে গুলির শব্দ আপাতত থেমেছে।
বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার পর্যন্ত কোনো গোলাগুলি বা ভারী বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তের বাসিন্দারা নিজ বাড়িতে অবস্থান করলেও তাদের আতঙ্ক কাটেনি কখন জানি আবার গুলির শব্দ এবং মর্টার শেল এসে পড়ে তবে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এদিকে গতকাল ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের বিজিপিসহ ১৫৮ জন নাগরিককে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র কাছে হস্তান্তর করার পর উচ্চ বিদ্যালয়টি খালী পড়ে আছে মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে ঘুমধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রের ৫০২ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া পাঁচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা এখনো খোলেনি। পরিস্থিতি পুরো স্বাভাবিক হয়ে গেলে স্কুলগুলো খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হুসাইনি।
বিজিবির সূত্রগুলো জানায়, সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতকারী ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বিজিবি। তুমব্রু সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।

ঘুমধুম বাজার পাড়ার বাসিন্দা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইদ্রিস বলেন, গত একমাস ধরে মায়ানমারের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলিতে আমরা আতঙ্কে ছিলাম, আজকে শুক্রবার ভোর থেকে কোনো গোলাগুলি হয়নি বা গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। যার কারণে আজকে দিনে তার অনেক ঘুম হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিয়ানমারের বিজিপিসহ ১৫৮ জন নাগরিককে সেদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি’র কাছে হস্তান্তরের পর সীমান্ত শান্ত রয়েছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও কাজ করছেন।