

মো. ইসমাইলুল করিম, প্রতিনিধি :
নিহত টমটম চালক অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৬) মাথায় আঘাতের চিহ্ন পার্বত্য জেলার বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে টমটম চালক অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৬) নিতের ৪১ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লাশ উদ্ধার হয়েছে।
বান্দরবান সদর ক্যচিংঘাটা এলাকার সাঙ্গু নদী থেকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা গিয়ে উদ্ধার করে বলে জানা গেছে। নিহতের মা আইল্যাবি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমার অনুমান সঠিক হয়েছে। তা না হলে বালুচরে টেনে নেওয়া চিহ্ন থাকত না। চিহ্ন দেখেই আমি বুঝতে পেরেছি। আমার ছেলেকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তি রোয়াংছড়ি উপজেলার ৩ নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নাতিনঝিরি পাড়ার বাসিন্দা মৃত ধল্যা তঞ্চঙ্গ্যার দ্বিতীয় ছেলে অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যা। সদ্য উদ্ধারকৃত ব্যক্তিকে গত (১৪ সেপ্টেম্বর) রবিবার রাতে টমটম চালানো শেষে বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নিজ বাড়ির পাশে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা কেউ বা কারা রাতের আঁধারে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। পরের দিন সকালে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মেদুক মারমার ভাড়া বাড়ির পেছনের রাস্তায় রক্তের দাগসহ খালের বালুচরে টানা হিঁচড়ে করার আলামত দেখতে পান স্থানীয়রা। এছাড়া নিহত ব্যক্তি অমন্ত সেন তঞ্চঙ্গ্যার ব্যহৃত পাহাড়ি ব্যাগ, তার মোবাইল ফোন ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। তাই টমটম চালক বলে শনাক্ত করেন নিহতের মা ও স্ত্রী।
ঘটনায় ব্যাপারে পুলিশকে জানালে রোয়াংছড়ি থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেন পুলিশ। পরিদর্শন শেষে সকাল থেকে উদ্ধার অভিযানে শুরু করেন। সারাদিন অভিযান চালিয়ে কিন্তু উদ্ধার করা যায়নি। নিখোঁজের ৪১ ঘণ্টা পরে বান্দরবান সদর ক্যচিংঘাটা এলাকার সাঙ্গু নদী থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। লাশের মাথায় ধারালো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রোয়াংছড়ি থানার (এসআই) শুভ্রমুকুল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টা দিকে খবর পেয়ে বান্দরবান সদর ক্যচিংঘাটা এলাকার সাঙ্গু নদী থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।